অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের আত্মঘাতী হামলায় সিরিয়ার রাক্কা শহরে কুর্দি নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ৬ সদস্য নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাক্কায় কুর্দি নিরাপত্তা বাহিনীর সদরদপ্তরে ওই আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) প্রধান মজলুম আবদি আইএসের ওই হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
এসডিএফ গণমাধ্যম কেন্দ্রের প্রধান ফরহাদ শামি বলেন, রাক্কায় এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী নিহত হয়েছেন। অপর এক হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে।
২০১৪ সালে উত্থানের পর সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে নিজেদের খিলাফত প্রতিষ্ঠা করে আইএস। সেসময় পূর্ব ইরাক থেকে পশ্চিম সিরিয়া পর্যন্ত প্রায় ৮৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নিয়েছিল তারা।
কিন্তু তিন বছরের মধ্যে, ২০১৭ সালে সিরিয়া অংশে অধিকৃত অধিকাংশ এলাকা হারায় এ সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। তার দুবছর পর, ২০১৯ সালে ইরাকের অধিকৃত অঞ্চলগুলোও হাতছাড়া হয়ে যায় তাদের।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, ভূখণ্ডের দখল হারিয়ে ফেললেও, গোষ্ঠীটির গোপন হামলাকারী দল বা ‘স্লিপার সেল’ এখনও সক্রিয় আছে।
জাতিসংঘের ধারণা, সিরিয়া ও ইরাকে এখনো ৬ থেকে ১০ হাজার আইএস সদস্য রয়েছেন। তারা সিরিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে প্রায়ই বোমা হামলা ও নাশকতা করে থাকেন।
চলতি বছরের প্রথম দিকে উত্তর সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হন আইএসের সাবেক শীর্ষ নেতা আবু ইব্রাহিম আল-কুরায়েশি। আর বছরের শেষ দিকে নিহত হন আবু হাসান আল-কুরায়েশি।
এ বছরের শুরুতেই উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার হাসাকা শহরে এসডিএফ পরিচালিত আল-সিনা কারাগারে ভয়াবহ হামলা চালায় আইএস। এতে প্রায় ৫০০ কারাবন্দী নিহত হন, যাদের মধ্যে ৩৭৪ জনই আইএসের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সূত্র: আল জাজিরা
Leave a Reply